প্রকাশিত: Sun, Mar 17, 2024 1:11 PM
আপডেট: Sun, May 19, 2024 7:16 AM

[১]জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা, ৬ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

অপূর্ব চৌধুরী, জবি: [২] শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে: ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা; অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনা; দ্রুত সিন্ডিকেট ডেকে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার; ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নিপীড়ন সেল কার্যকর। 

[৩] তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ বলেন, আগামীকাল রোববার তদন্ত কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[৪] শনিবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে এর পেছনে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

[৫] এরপর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ ঘুরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। সেসময় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে দাঁড়িয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং দাবি বাস্তবায়নে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

[৬] বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিভ বলেন, ফাইরুজ অবন্তিকা আপু অসাধারণ শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানাবিধ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে জবি শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে মুক্তির জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেখানে অবন্তিকা আপুও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর জন্য তাকে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে। তাও তিনি পিছপা হয়নি। কিন্তু তারই এমন করুণ পরিণতি আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা। বিষয়টির সাথে যারা জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

[৭] অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সকল ভাই-বোনদের জন্য নিরাপদ করে তুলবো আমরা। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের বোনের এমন পরিণতিতে যারা দায়ী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে।

[৮] শনিবার সকালে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অভিযুক্ত রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব